Saturday, June 17, 2017

বিষয়ঃ আলোচনা

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

কূটকচালী ইন ফেসবুক

 

হে তত্ত্ববাগীশ উর্দ্ধপাদ দন্ড এলিট “খ্যালখাটান্স”!!


ফেসবুক- মে ২০১৬

পোস্ট কলোনীয় নিয়তি!!

 

আমাদের এই কচুপোড়া দেশে শিল্পী হতে গেলে তো অবশ্যই একটা লবি (বা হাউস)-এর অনুমোদন লাগে সেটা খচ্চর এবং ঢ্যামনারা শিল্পী হবার আগেই হাতিয়ে নেয়, অনেক ঘষাঘষি কারে শেষমেশ একজন আঁকিয়ে হয় মাত্র! আর যাঁর সময়ই নেই ঐসব মানি-মার্কেট-ডিলারশীপ সিস্টেমের স্বপ্নে বিভোর হবার, পেটের খিদেতে তুলি ডুবিয়ে মনের খিদে দিয়ে রঙ মাখিয়ে স্থির ক্যানভাসের মধ্যে অস্থিরতার ঝড় তুলতে পারেন তাঁরাই শিল্পী হয়ে ওঠেন সিরিয়াস দর্শকের মগ্ন চেতনায়! সেই হিসেবে রামকিঙ্কর যদি উড়ন্ত পক্ষী হন বেশিরভাগ সব আরশোলা মাত্র!!! ইহাই আমাগো পোস্ট কলোনীয় নিয়তি!!
রামকিঙ্করের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপক ফেসবুকে প্রকাশিত একটি আলোচনাকে কেন্দ্র করে এই মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছিল।
ফেসবুক- ৯/৫/২০১৬

খুচরো পাপ এবং এক হাউয়াই চটির জীবন দর্শন..

 

হ্যাঁ আবারও বলব! ভন্ডামী আর চাতুরীর খোলোশ ছেড়ে বলব অসংস্কৃত হাউয়াই চটির জীবন দর্শন ও তার ক্ষমতা সার্থক হোক! গোটা লাইব্রেরী গিলে খাওয়া তত্ত্ববাগীশ উর্দ্ধপাদ দন্ড এলিট বুদ্ধিজীবীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বলব ঐ মেয়েগুলো আমারও মেয়ে, ঐ মেয়েগুলো সাইকেল পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলো বইখাতা পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলো টাকা পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলোর  লেখাপড়া হলে ওদের সন্তানদেরও লেখাপড়াটা হবে, ওদের সন্তানদের লেখাপড়াটা হলে ওদের সন্তানরা জীবনের মানে খুঁজে পাবে, পথ খুঁজে পাবে! আর সেটা হলে আত্মশক্তি বা স্ব-নির্ভরতাও সবল হবে। ওরা চ্যালেঞ্জ জানাবে ভদ্দরলোকের সমাজকে! যদিও সকলের জানা তবু আর একবার  নৈরাজ্যবাদীর মতন খুঁচিয়ে ঘা করি – একটা সংযোজন-

“…এখানে একটা কথা তুললে ভীষণ বিতর্ক বেধে যাবে। সেটা হল ভারত  আর ইন্ডিয়া-দুটো দেশের কথা যা অনেকেই মানতে চাইবেন না। কিন্তু তাতে তো সত্যটা পালটে যাবে না বা মিথ্যে হয়ে যাবে না। হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও সত্যটা সত্য-র জায়গাতেই থেকে যাবে। সেটাই বাস্তব। সেই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করার মতন মন আছে কার? কোন শ্রেণীর মানুষের আছে? যাঁদের থাকার কথা তাঁরা তো অন্য স্বপ্নে বিভোর! সে স্বপ্নের নাম গ্লোবালাইজেশান! খুব গালভরা নাম একটা! ভাবলে মনে হয়, কি না কি একটা বিপ্লব ঘটে গেছে সারা বিশ্বে! সারা পৃথিবী এক হয়ে গেছে। এ এক মস্ত ভুবনগ্রাম। এইসব হাবিজাবি অজস্র আবর্জনা সুলভ কথাবার্তা আমাদের প্রতিনিয়ত গেলানো হচ্ছে যা হজম তো হচ্ছেই না উলটে বদ হজমের চোঁয়াঢেঁকুর ও তার বিশ্রী পচা দুর্গন্ধে সামগ্রিক চিন্তার জগত, তার পরিবেশ বিষাক্ত হচ্ছে। আসলে যে কি ঘটছে সেটা জানবার বা শোনবার মতন মন আছে কার? উন্নয়নের গুঁতোয় সবাই এখন সামনের দিকে পড়িমরি করে ছুটছেন কি করে গ্লোবাল-মেল নামের ট্রেনটাতে দ্রুত উঠে পড়া যায়, না হলে যে ইহজীবনের ভোগবাদটাই হয়ত ফসকে যাবে! মনের মণিকোঠায় তাঁদের কারেন্সি হল ডলার, রাজধানীগুলো হল লন্ডন-ওয়াশিংটন-টরেন্টো-মস্কো-বেজিং-টোকিও, ইউনিক গ্লোবাল পোশাক, ইউনিক গ্লোবাল খাদ্য এমনকি ইউনিক একটা কালচারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ–এক কথায় নিজভূমে পরবাসী কিন্তু মনে মনে বিশ্বনাগরিক “ঘেঁটে ঘ” হওয়া আর সেই সঙ্গে মেধা, প্রতিভার বিসর্জন, ব্রেন ড্রেন! এই হল পোশাকি বিশ্ব নাগরিকত্ব-র চেহারা! এঁরা হচ্ছেন ইন্ডিয়ার আলোকপ্রাপ্ত নাগরিক লোক নাকি নাগরিক জঙ্গল, কে জানে? এঁরা পণ্য-মৈথুন মৌতাতে মেতে আছেন, বিরাট সংখ্যক প্রায় ২৫ কোটির কনজিউমার ক্লাস যাঁদের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। ইন্ডিয়ার এই নাগরিকরা জলের বোতল আর সেল ফোন হাতে শপিংমলে চরে বেড়ায় আর তখন ভারতের লোক ফুটো হাঁড়ি নিয়ে নদীর চরে জল খুঁজে বেড়ায়। রাষ্ট্রের উচ্চপদাধিকারী আমলা ফ্রান্সের জনসাধারণকে অনুরোধ করে বলে আসেন–আপনারা বলিউড দেখে ভারতকে চিনবেন না। এর চাইতে নির্মম সত্য আর কি হতে পারে? এইখানেই ভাগাভাগিটা হয়ে যাচ্ছে–একটা দেশের মধ্যে আর একটা দেশ। পাঁচহাজার বছরের পুরনো একটা দেশের যে সামাজিক বিধি ব্যবস্থা ছিল তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল ঔপনিবেশিক কারণে অথচ গড়ে ওঠেনি উপযুক্ত নতুন কোনও আধুনিক ব্যবস্থা–রাস্তা নেই, আলো নেই, পাণীয় জল নেই, স্কুল নেই, কলেজ নেই, নেই হাসপাতাল–যেটুকু আছে তারও টিমটিমে করুণ অবস্থা। অনুদান যা আসে তাও বারো ভূতে লুটেপুটে খায়। ঘুটঘুটে অন্ধকার তার মধ্যে টুনি বাল্বের মতন আলো ঠিকরচ্ছে কসমোপলিটান শহরগুলো যেখানে পাশাপাশি ভোগ আর উন্নয়ন হাত ধরাধরি করে চলছে। স্বভাবতই একটা বৈষম্য প্রকট, প্রান্তিক অঞ্চল আর একটা কসমোপলিটান শহরের মধ্যে ব্যবস্থার আসমান জমিন ফারাক।”.. “দেহের সমস্ত রক্ত মুখে এসে জমছে।”

খুচরো পাপ এবং মুষড়ে পড়া ডোল অর্থনীতি  না আত্মশক্তি– যে ঘোড়ার ডিমই হোক না কেন…

 

ফেসবুক- ১০/৫/২০১৬

আমার অবশ্য চাল গম নিয়ে মাথাব্যাথা নেই! জন্মের পর থেকেই শুনছি চাল গম পচা খুদকুড়ো কাঁকর — তাই খেয়েই এদেশের হতভাগারা বেঁচে থাকে! ছোটবেলায় শুনেছিলাম পি এল ফোর গমের কথা যা নাকি সঙ্কট সৃষ্টি করার জন্য মহান ইউয়েশীয়ানরা সমুদ্রে ফেলে দিত যেমন নাকি ফেলে দেওয়া হত আমাদের দেশে হাজার হাজার লিটার গরুর দুধ বম্বের উপকুলে এই কারণে যে যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই বলে, তবুও হতভাগারা পেত না!!..এদেশের খেতে না পাওয়া মানুষরা আর কবেই বা পেট পুরে খেতে পেল এখন যদি পায় তাতে ক্ষতি কি সাড়ে চার হাজার ক্ষতি তো! তা অমন সাড়ে চার হাজার তো ৪৭-এর পর থেকে কতবার উধাও হল ঘুষ/কাটমানি/শিল্পপতিদের ব্যাঙ্কের লোন শোধ না করা / কাজে ফাঁকি দেওয়া সরকারী কর্মীদের ডিএ ভাতা ইত্যাদি / ..এই তো সেদিন ৩৮ কোটি টাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বউ- এর আঁকা ৮ খানা ছবি কিনল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া / মহাকাশ যাত্রায় কত শো কোটি, নাঃ! কোটির নিচে কোনও কথা নেই! বেশ ভাল! আচ্ছা আমার একটা প্রস্তাব প.ব. সরকার যদি ৩৬ লক্ষ সাইকেলের মত ৩৬ লক্ষ ন্যানো (এলিট আমুদে বাঙালীর সাধের গুবরে পোকা!) মধ্যবিত্তদের মধ্যে বিলোয় তাহলে কেমন হয় কেমন বগল বাজানো হবে কেমন ডায়ালগ চলতে থাকবে পথেঘাটে টিভির পর্দায় খবরের কাগজের পাতায় সবার আগে কারা দৌড়বেন কেমন ডিগবাজী খাবেন সুবোধরা ইস!…ভোটের আগে বললেন না কেন? তাহলে তো আপনাকেই…! আমি অবশ্য ভোটেও নেই ভাঁটামিতেও নেই, কোনও পলিটিকো নেই আমার, নোটাতে আছি, এই গ্যাঁড়াকলের তন্ত্র (বা গণতন্ত্র) আমার কাছে ভয়ানক রকমের দুর্বোধ্য ! আর এ যাবৎ জন্মের পর (জ. ১৯৬০) থেকে কেন্দ্র বা রাজ্য কারুর কাছ থেকেই এক পয়সাও নিই নি, দরকার হয় নি, ঐ যে আত্মশক্তি না কি যেন গুরুদেব বলেছেন তার জোরে ! যাইহোক অনেক ভাঁটালাম খাল্পাড়ের বস্তিবাসীদের মতন, তবু একটা কথা বলি যে আমার জন্ম ইস্কুল মাস্টারের ঘরে তাই হয়ত বুঝেছিলাম লেখাপড়াটা কত জরুরী আমার বাবা প্রায় নিঃস্ব হলেও তাঁর ছাত্ররা সুপ্রতিষ্ঠিত) তাই চাল গমের থেকেও জরুরী ছিল এই প্রশ্নটা যে ঐ ৩৬ লক্ষ বা তার বেশী মেয়েগুলো যদি  বিনাপয়সায় সাইকেল পেয়ে বইখাতা পেয়ে, খাবার পেয়ে ক্লাশরুমে পাঠ নিয়ে খাঁড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে যদি আত্মসচেতন হতে পারে যদি ভবিষ্যতে তার বাচ্চাদেরকে শেখাতে পারে তবে কয়েকটা প্রজন্মের পর নিঃস্ব প্রান্তিক বাংলা হয়ত স্ব-নির্ভর হলেও হতে পারে, সেটা মুষড়ে পড়া ডোল অর্থনীতি হল না আত্মশক্তি হল — যে ঘোড়ার ডিমই হোক না কেন সেটা পরে বোঝা যেত!.. “হয়তো ওরাই প্রান্তিকতার উন্নয়ন দিয়ে ভোগবাদী ইন্ডিয়াকে ঘিরে ফেলবে সেদিন বোঝা যাবে মুখ আর মুখোশের পার্থক্য, উন্মুক্ত হবে আমাদের প্রকৃত চরিত্র সেদিনই শুরু হবে আমাদের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের অমলিন স্বপ্ন সফল হওয়া বিদ্যাসাগরের অসমাপ্ত আরাধ্য কাজের জয়যাত্রা!!” অথবা যুক্তি তক্কো গপ্পো-র “লাচো লাচো তইমরা না লাইচলে কিচ্ছুটি হবার লয়” !

ডোল অর্থনীতি বনাম অনুদান নির্ভর অর্থনীতি নিয়ে চলা কথোপকথনের উপর আলোচনায় এই মন্তব্য দুটো ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল।
–বাংলা ব্লগারু

This entry was posted in আলোচনা, সংবাদ, সমাজ and tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , . Bookmark the permalink

বিষয় : শিল্পকলা

Posted on

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,
 

স্বাগতম্ !

SSAVD invitation card
আমন্ত্রণ পত্র


বেঙ্গল কনটেম্পোরারি আয়োজিত

স্বাদ-এ শিল্পকলা প্রদর্শনী


শান্তিনিকেতন সোসাইটি অফ্ ভিশুয়াল আর্ট এ্যান্ড্ ডিজাইন (এস্.এস্.ভি.এ.ডি বা স্বাদ)
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্বাদ-এর প্রদর্শনী কক্ষে ছয়জন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চলেছে বেঙ্গল কনটেম্পোরারি নামে বাংলার এক শিল্পীদল। বাঙালীর গৌরব কবিগুরুর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর অদূরে সোনাঝুরি পল্লীতে স্বাদ-এর অবস্থান। বিখ্যাত শিল্পী ও শিল্প-ব্যক্তিত্ব শ্রী যোগেন চৌধুরীর সুযোগ্য নেতৃত্বে শিল্পের সমকালীন ধারা, দেশ বিদেশ থেকে আগত সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব, উঠতি নবীন ও প্রতিষ্ঠিত প্রবীণ শিল্পী এবং গবেষকদের দ্বারা সমকালীন শিল্পচর্চা ও গবেষণাকে  তুলে ধরার জন্য বিশ্বভারতীর সৃজনশীল ব্যক্তিরা এবং শিল্পকলা বিভাগের অধ্যাপক-সদস্যরা এই স্বাদ বা শান্তিনিকেতন সোসাইটি অফ্ ভিশুয়াল আর্ট এ্যান্ড্ ডিজাইন (এস্.এস্.ভি.এ.ডি) নামে এই সাংস্কৃতিক হাব গড়ে তুলেছেন।

বেঙ্গল কনটেম্পোরারির সদস্য-শিল্পী ও আমণ্ত্রিত অতিথি-শিল্পীরা এখানে একটা সুযোগ পেয়েছেন দলগত ভাবে তাঁদের কাজ দেখাবার জন্য। ৮০’র দশকে শুরু, সেই থেকে দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিবিষ্ট ভাবে বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে শিল্পচর্চায় নিমগ্ন মধ্যবয়স্ক এই ছ’জন চিত্রকর। এঁরা হলেন প্রবাল চন্দ্র বড়াল, নবকুমার চক্রবর্তী ( দু’জন দলের সদস্য), অলোক সর্দার, চয়ন রায়, নীলোৎপল সিংহ এবং মলয় চন্দন সাহা (চারজন আমণ্ত্রিত)। এই চিত্রকররা বাণিজ্যিক চিত্রশালার বিভিন্ন দলগত প্রদর্শনী, বাৎসরিক প্রদর্শনী (একাডেমী অফ ফাইন আর্টস ও বিড়লা একাড়েমী অফ আর্ট এ্যান্ড কালচার), জাতীয় প্রদর্শনী (ললিতকলা একাডেমী) এবং স্ব-উদ্যোগে আয়োজিত দলগতপ্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট অন্তেপ্রেনিওরশীপ দ্বারা অনুষ্ঠিত নানা শিল্প-শিবির বা কর্মশালাতেও যোগদান করেছেন।

Probal, Aloke, Chayan, Nilotpal, Malay and Naba
বাঁ দিক থেকে : প্রবাল, অলোক, চয়ন, নীলোৎপল, মলয় ও নবকুমার
এই ছ’জন সমকালীন চিত্রকরের কাজে একটা পরিস্কার পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। ফর্মাল চিত্রভাষার এক রীতি গড়তে গিয়ে তাঁরা প্রখর কল্পনাশক্তি কিম্বা বর্ণনামূলক স্টাইলের সাহায্য নেন যা একেবারে প্রত্যক্ষজ বা পারসেপশানের জায়গায় একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যায়। বরং নানারকম ঝোঁক – আধুনিকতাবাদী চিন্তার সান্নিধ্য থেকে উত্তর আধুনিক মনোভাব – সবই লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্ত প্রক্রীয়াটা খুব অবলীলাক্রমে খেলাচ্ছলে কালি, কালি ও ওয়াশ (কাগজের উপর), কাগজ/ক্যানভাসের উপর এ্যাক্রিলিকে অথবা উচ্চতর প্রযুক্তিগত সুবিধা (রিসোর্স) কাজে লাগিয়ে নির্মাণ-টা হতে থাকে। বেঙ্গল কনটেম্পোরারির সদস্যরা এবং অতিথি-শিল্পীরা এক নতুন চিত্রভাষার সন্ধানে তাঁদের প্রচেষ্টা সম্পর্কে খুবই সজাগ থাকেন।

এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭-০০ পর্যন্ত। প্রথমদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শুরু। আপনাদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, আপনারা যদি ঐ সময় শান্তিনিকেতনে অবস্থান করেন তাহলে এই প্রদর্শনীতে ১৫ কিম্বা ১৫ ডিসেম্বরের পরে কোনও একদিন উপস্থিত হোন। বেঙ্গল কনটেম্পোরারি আপনাদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষায় থাকবে ঐ দিন।

–-বাংলা ব্লগারু দ্বারা লিখিত রিপোর্ট
 
This entry was posted in সংবাদ and tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , . Bookmark the permalink.

Tuesday, June 28, 2016

বিষয়ঃ আলোচনা

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

ফেসবুকঃ ২২.৫.১৬

 

কূটকচালী ইন ফেসবুক

 

জয়দীপ ঘোষ – আসলে যেটা ছিল একদিন পায়োনিয়ার ফোর্স সেটা কেমন যেন ক্ষয়ে গেল, নির্ধারণের ক্ষমতা হারালো ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়া হচ্ছে বোথ ইকোনমিক্যালি এন্ড সোস্যালি। এটা সম্পুর্ণ আমার পার্সোনাল অভিমত।

গসু-২ (2)
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি…!!!


বাংলা ব্লগারু – আমি একমত। কিন্তু কোনও অভিমতই তো আর “পার্সোনাল” থাকে না, বিশেষতঃ যখন  সেটা বড়সড় কোনো সংঘাতের মুখে পড়ে। এই এলিট বনাম নিম্নবর্গের সংঘাত আজ পরিস্কার ফুটে উঠছে যাকে একদা বামপন্থীরা ক্লাস স্ট্রাগল বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। তোমার দেওয়া ছবিটা একসময়ের স্ট্যাটাস সিম্বল ছিল শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক শ্রেণীর বাড়িতে। আজ তার রূপ যাই হোক না কেন সেটা ঐ অতিত গৌরবের টিম টিম করা চিহ্ন – একমাত্র কিউরিও ভ্যালু ছাড়া যার আর কিছু নেই! এখন কথা হচ্ছে যে শিক্ষিত, প্রগতিশীল, “পায়োনিয়ার”, “নির্ধারক” বাবু বাঙালী ভদ্রলোক শ্রেণী কেন “অপ্রাসঙ্গিক” হয়ে উঠল আজ? এমন তো হবার কথা ছিল না।

“দেশের প্রতিটি মানুষের সাথে যে গভীর সংযোগ-সংলাপ থাকা দরকার সে কথা তো নতুন কোনও কথা নয়– আধুনিকতার প্রবক্তা, আমাদের বরণীয় মনীষীরা তা বারে বারে বলেও গিয়েছিলেন আর তার জন্যই তো তাঁরা শিক্ষার উপর এতো জোর দিয়েছিলেন; নিজেরাও সচেষ্ট ছিলেন কি ভাবে শিক্ষার আবহ গড়ে তোলা যায়, প্রসারণ ঘটানো যায় সমাজের সর্বস্তরে, হোক না সে পরাধীন দেশ, তবুও! এটা ভাবতে খুবই অবাক লাগে যে ঐ রকম একটা সময়ে কি ভাবে বিজ্ঞান চর্চা, গবেষণা, শিক্ষাদীক্ষায় প্রাবল্য এসেছিল তা আজও এই স্বাধীন দেশে বসে আমরা ভাবতে পারি না! অথচ আজ তা বুদবুদের মতো মিলিয়ে গেছে কোথায় যেন! আমরা হারিয়েছি সেই গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলো! তখন স্কুলকলেজ স্থাপন করা হত সমাজের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আর এখন হয় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। আর সেখানে ভিড় করতে পারেন সমাজের অর্থবান মানুষরা। যাঁদের সেই আর্থিক ক্ষমতা নেই, অগুনতি হতদরিদ্র নিম্নবর্গীয় মানুষ, তাঁরা ব্রাত্য সেখানে। সরকারী অনুদানে চলা স্কুলকলেজ আর কটা যে বিপুল সংখ্যক মানুষের চাহিদা মেটান যায়? পড়াশোনার মানও যে সব জায়গায় সমান তা নয়। অভাব অভিযোগ বিস্তর। গোদের উপর বিষফোঁড়া সস্তা দলীয় রাজনীতির মাতব্বরি, সূক্ষ্ম রেসিসিজম বা ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক মনোভাব সব মিলিয়ে শিক্ষার সার্বজনীন প্রয়োগ দূরঅস্ত! এভাবেই শিক্ষার আলোক-স্পর্শ অধরা থেকে যায় রামা কৈবর্ত, হাশেম শেখ, রামু বড়ালদের জীবনে।”

শুধু তাই নয়, সংক্ষেপে বলতে গেলে–

“এর উপর সমাজের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী তথাকথিত আলোকপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষদের বিরাট এক অংশের ব্যাপক, মাত্রাহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া!–যাঁদের কোনও চেদবেদ নেই, তাঁরা কি করছেন কেন করছেন সেটা নিয়েও নেই কোনও অনুশোচনা। বরঞ্চ পরোক্ষভাবে এর প্রতি ভেতরে ভেতরে একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে তাঁদের! সবটাই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ, ভাবনার ফসল।”

জমিদারী ব্যবস্থা থেকে উদ্ভূত বাবু শ্রেণী বেলজিয়াম কাচের উপর গাড়ী চালিয়ে, বেড়ালের বিয়ে দিয়ে আজ মাল্টিপ্লেক্স ন্যানো স্ট্যাটাস চর্চায় এসে ঠেকেছে! পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে যে  উজ্জ্বলতার চ্ছটা দেখা গেছে ক্রমাগত ক্ষয়ের মধ্য দিয়ে তা সত্তর দশকে এসে নিভু নিভু হিয়ে গেল। যেটুকু পড়ে রইল সেই “উদ্যোগী” “নির্ধারক” বাবু বাঙালী ভদ্রলোক শ্রেণী  কোনঠাসা হয়ে পড়ল নবকলেবরে সুবিধাভোগী মধ্যবিত্ত কেন্দ্রিক “সুখী বামপন্থার” আবির্ভাবে – শুরু হল মধ্য মেধার চাষ! ফলতঃ যাঁদের হাল ধরার কথা ছিল তাঁরা জীবন জীবিকার তাড়নায় ছিটকে গেলেন। প্রকৃত মেধাসম্পন্ন মানুষরা সমাজকে নেতৃত্ব দেবার বদলে ধীরে ধীরে নিজের নিজের বলয়ে সীমাবদ্ধ হলেন এবং সমাজের বৃহত্তর অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন, শুধু বিচ্ছিন্নই হলেন না তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম গুলোও ক্রমাগত শিকড়হীন হতে শুরু করলো। তৈরী হল ইউরোকেন্দ্রিক ভাবনায় চুবে থাকা নয়া এলিটিজম! সেটা আগেও ছিলো কিন্তু তবুও তাঁরা তাঁদের কাচের স্বর্গ থেকে মাঝে মাঝে  নেমে আসতেন “বাবু” বলা “ছোটলোকদের” মাঝে, বুঝতে চাইতেন তাঁদের “জীবনের মানে”, রাজনীতি  থেকে শিল্প সাহিত্যে যার নজির আছে। এমনিতেই ইংরাজী জানা ভদ্রলোক শ্রেণী বলে একটা অহমিকা ছিলোই (বামপন্থীরাও যার ধারক বাহক) আর ছিল গরীব গুর্বোদের প্রতি একটা প্রবল অধিকারবোধ। অর্থাৎ তাঁরাই ঠিক করে দেবেন “গ্রাম বাংলার মানুষ কেমনভাবে জীবন যাপন করবেন”, কি রকম হবে তাঁদের উন্নয়নের নকশাটা! অথচ বছরের পর বছর “লুন্ঠিত গ্রাম বাংলা”-র রসদে “দেহের সমস্ত রক্ত মুখে জমা” হচ্ছে দেখেও নিরব নির্লিপ্ত থেকেছেন!! বিভেদ বিচ্ছিন্নতা থেকে আজ যখন নিম্নবর্গীয়দের উত্থান প্রবলভাবে আছড়ে পড়ছে, ভোট বাক্সের হিসেব নিকেশ লন্ড ভন্ড হয়ে যাচ্ছে তখন নিজেদের অস্তিত্বের তাড়নায় ব্যঙ্গ বিদ্রুপে ভরিয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইট থেকে, টিভি পর্দায়, আলোচনায়, খবরের কাগজে মিডিয়া ব্যারনদের প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ অনুপ্রেরণায়! বলা হচ্ছে “জনমোহিনী”, “অনুদান”, “ডোল” অর্থনীতি। ট্যাক্সের পয়সার শ্রাদ্ধ করে মেয়েদের সাইকেল দেওয়া হচ্ছে, দু’টাকা কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে, নগ্ন পদ শিশুকে জুতো দেওয়া হচ্ছে। তখন তো “অপ্রাসঙ্গিক” হবার প্রসঙ্গে বলতেই হয়-

“না!!..এদেশের খেতে না পাওয়া মানুষরা আর কবেই বা পেট পুরে খেতে পেল, এখন যদি পায় তাতে ক্ষতি কি? সাড়ে চার হাজার? ক্ষতি তো! তা অমন সাড়ে চার হাজার তো ৪৭-এর পর থেকে কতবার উধাও হল ঘুষ/কাটমানি/শিল্পপতিদের ব্যাঙ্কের লোন শোধ না করা / কাজে ফাঁকি দেওয়া সরকারী কর্মীদের ডিএ ভাতা ইত্যাদি / ..এই তো সেদিন ৩৮ কোটি টাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বউ- এর আঁকা ৮ খানা ছবি কিনল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া / মহাকাশ যাত্রায় কত শো কোটি, নাঃ! কোটির নিচে কোনও কথা নেই!” -–বা– “হ্যাঁ আবারও বলব! ভন্ডামী আর চাতুরীর খোলোশ ছেড়ে বলব অসংস্কৃত হাউয়াই চটির জীবন দর্শন ও তার ক্ষমতা সার্থক হোক! গোটা লাইব্রেরী গিলে খাওয়া তত্ত্ববাগীশ উর্দ্ধপাদ দন্ড এলিট বুদ্ধিজীবীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বলব ঐ মেয়েগুলো আমারও মেয়ে, ঐ মেয়েগুলো সাইকেল পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলো বইখাতা পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলো টাকা পেলে ওদের লেখাপড়াটা হবে, ঐ মেয়েগুলোর  লেখাপড়া হলে ওদের সন্তানদেরও লেখাপড়াটা হবে, ওদের সন্তানদের লেখাপড়াটা হলে ওদের সন্তানরা জীবনের মানে খুঁজে পাবে, পথ খুঁজে পাবে! আর সেটা হলে আত্মশক্তি বা স্ব-নির্ভরতাও সবল হবে। ওরা চ্যালেঞ্জ জানাবে ভদ্দরলোকের সমাজকে! যদিও সকলের জানা তবু আর একবার  নৈরাজ্যবাদীর মতন খুঁচিয়ে ঘা করি”!!!!

ফটোঃ জয়দীপ ঘোষ

 

–বাংলাব্লগ টিম

Posted in আলোচনা, রাজনীতি, সংবাদ, সমাজ | Tagged , , , , , , | মন্তব্য দিন

Sunday, June 19, 2016

বিষয়ঃ সময়ের দলিল

Posted on by
 
প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

আমাদের বন্ধু সমীর ভট্টাচার্য সম্পর্কে এর আগে একটি লেখা বাংলাব্লগে প্রকাশ করেছিলাম। ইদানিং তিনি ফেসবুকে নিয়মিত লিখছেন। বাংলাব্লগের তরফে ফেসবুকে পোস্ট করা তাঁর একটি অনবদ্য লেখা আমরা পুনরায় প্রকাশ করলাম। কেমন লাগলো জানাবেন, মতামত পোস্ট করুন এই আমাদের অনুরোধ। ধন্যবাদ!

–বাংলাব্লগ টিম


সময়ের দলিল-১

ফেসবুক / ১৩ জুন ২০১৬ রাত্রি ১.০১ মি।

 

সমীর ভট্টাচার্য

সমীর ভট্টাচার্য 

আমাদের তো ছিল দীর্ঘ যাত্রা পথ। দীর্ঘ আলোচনা। করতলে ধৃত আমলকী ছিল ব্রহ্মাণ্ড। আমাদের সঙ্গে ছিল রাশি রাশি বই। কোটেশন । সংবাদপত্রের পুস্তক পরিচিতি ও সমালোচনা, সমাজ বিপ্লবের যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ। শহর নগর কারখানা গ্রামাঞ্চলের খুঁটিনাটি পর্যন্ত প্রলম্বিত। দাড়িতে হাত বুলিয়ে আমরা বলতে পারতাম গুয়াতেমালা থেকে দিয়েগো গার্সিয়া, গর্বাচেভের গার্লফ্রেন্ড থেকে হোচিমিন সরণী পর্যন্ত আমাদের যাতায়াত। রাতজেগে ইয়াংসো গদার বা ফার্নান্দো সোলানাস, ঋত্বিক কুমার ঘটক থেকে রামকিঙ্কর বেইজ, চে গেভারা থেকে শ্রীকাকুলাম সবই গলাধঃকরণ করেছি। খুবই নিশ্চিন্তে ছিলাম মহেন্দ্র দত্তের ছাতার মত মার্কস ও কোকাকোলার ছায়ায় (অবশ্য পেপসিও কম যায় না ), বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও হেমাঙ্গ বিশ্বাসের ‘শঙ্খচিল ‘এর গানে গর্জনের মাঝখানে, ব্যারিটোন টানে দেবব্রত বিশ্বাসের ‘বিশ্বভরা প্রাণ’ এ। ছাত্র রাজনীতির দিন শুকিয়ে গেলে আমরা বুবুঝলাম, বেলা হল । অর্থাৎ আমরা চল্লিশ পেরিয়েছি । ততদিনে অনেকেই বিবাহিত । অনেকেই সাগরপাড়ি। অনেকেরই পক্ককেশ, মায় বিরল কেশ পর্যন্ত । বেদনার সন্তান হয়ে গেলাম আমরা। ঐ যে, যৌবন যায়, যৌবন বেদনা যে যায় না ….! অনেকেই কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের সন্ধ্যার আড্ডা ছেড়ে সন্ধ্যার পানশালায়, অনেকেই দিশী,কেউ কেউ বিদেশী তরলের গ্লাসে ভিজিয়ে নিচ্ছি দস্তয়ভস্কি থেকে কাফকা বা গ্যাব্রিয়েল মার্কেজের নিঃসঙ্গতার অভিযাত্রা। হাতের পেজার রূপান্তরিত হলো সেল ফোনে। এল একুশ শতকের হাওয়া। সেই হাওয়ায় আমরা কৃত্তিবাস, হাংরি জেনারেশন, বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ,1970 দশকের এর গোলাপের পাপড়িগুলোকে এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে দিলাম। ইন্টারনেট বা অন্তর্জাল যাত্রা আমাদের পথ সুগম করে তুললো আরও। বাজার খুলেছিল আগেই। গানে কবীর সুমন (সুমন চট্টোপাধ্যায় ) ‘গানওয়ালা ‘ অভিধায় বাজারের রঙ্গ-কে আলিবাবার চিচিংফাঁক মন্ত্রে খুল্লাম খুল্লা করে ছাড়লেন। ‘মহীনের ঘোড়া ‘র গৌতম চট্টোপাধ্যায় নিওলিথ স্তব্ধতায় ধীরে ধীরে ঢাকছেন। চিত্রকলায় ও ভাস্কর্যে রামকিঙ্কর বেইজের মহাপ্রস্থানের পরে আমরা তবু টেনে নিয়েছিলাম নিখিল বিশ্বাস থেকে মীরা মুখার্জী, প্রকাশ কর্মকার, আরও অনেকানেক শিল্পীকেই । আমরা, মানে এই আমাদেরই শিল্পকলার লোকজন। ছবি থেকে গান, বাগান থেকে বাড়ি, বাড়ি থেকে জমি সবকিছুই বিক্রয়যোগ্য হয়ে উঠলো। প্রোমোটিং এর কল্যাণে রাশি রাশি হাউসিং কমপ্লেক্স ও বিগবাজার শপিং মলের উত্থান। এ ছিল হিমশৈলের চূড়ার মতো। মাথাটা দেখা যাচ্ছিল। বিস্ফোরণের মতো নেমে এলো সামাজিক বড়ো আন্দোলনের নেতারা । নিজের বাগানে ফুল ফোটানোর থেকে হর্টিকালচারে সানফ্লাওয়ার দেখতে পছন্দের লোক বেড়ে গেলো। ফুলের পুরোনো দোকানগুলিতে শিক কাবাব ঝুললে আমরা পছন্দ করলাম বেশি। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে মোবাইল অ্যাপে ভেসে উঠল জলপরীদের সর্বাঙ্গ। সমস্ত প্রতিবাদ ভেসে গেলো চুম্বনে চুম্বনে।
(এ লেখাটি আমারই। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় না, ফেসবুকে শেয়ার করি, সেরকম একটা লেখার অংশ। তবে লোকজনকে বোর করবো না। এইটুকুই দিলাম।)

সময়ের দলিল-২


ফেসবুক / ১৪ জুন ২০১৬ রাত্রি ৯.২৬ মি।



সমীর ভট্টাচার্য

না । আমরা আর পাড়ার জঞ্জাল সাফাই অভিযানে যুক্ত হলাম না। আশপাশের যাবতীয় ধূর্তামী ও হিংস্রতাকে ফেসবুকে ঢুকিয়ে দিলাম। বুক চিতিয়ে দাঁড়ালাম না, কেননা আমাদের বুক নেই। ‘ধর্ষণ ‘এর যাবতীয় তথ্য টেলিভিশন বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জেনে সংবাদপত্রেই প্রতিবাদী চিঠি লিখতে শিখলাম। ধর্ষণ কি ও কেন এবং কারা দায়ী ইত্যাদি নিয়ে চায়ের দোকান সরগরম করে তুললাম। যেহেতু একদিন ঘর থেকে শুরু করে বিশ্বের সব জায়গাকেই মুক্তাঞ্চল ভাবতে শিখেছিলাম, তাই, এমনকি, রাতবিরেতের পাড়ার নৈশ পাহারার মানুষগুলিও নিরাপত্তার অভাবে টিভি চালিয়ে যাবতীয় দুষ্কর্মের সাক্ষী হতে চাইলাম। কোন জেলায় নদীপাড় ভাঙন রোধ, বস্তি উচ্ছেদ, প্রকৃতির ঝড়ের শিকার, বন্যায় আক্রান্ত দুর্গতদের কাছে যাওয়া, পাঠ্য তালিকায় বিপুল অসংগতি, প্রান্তিক মানুষদের সরকারি সাহায্যের মাঝখানে গজিয়ে ওঠা কিছু মানুষের অবিচার, গণহারে শিশুমৃত্যু, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় চূড়ান্ত অসঙ্গতি, এমনকি সমালোচনায় সরব মানুষদেরও ভোট নির্ভর প্রতিবাদ সব কিছুকেই আমরা মান্যতা দিলাম। আলোচনায় ঘুরে ফিরে আসে নানা আর্থিক অনাচার। কিন্তু যে আমরা মার্কস থেকে গান্ধী, যে আমরা চে গেভারা থেকে মিশেল ফুকো, যে আমরা রবীন্দ্রনাথ থেকে নবারুণ, রামকিঙ্কর থেকে মীরা মুখোপাধ্যায়, হেমাঙ্গ বিশ্বাস থেকে আজকের রাস্তায়,সেই আমরাই, কি আজ কোন গোপনাভিসারে লিপ্ত ? সবটাই কি ‘কাফকা কামু সার্ত্র / উল্টে গেল পাত্র? "

এই বিপুল জলতরঙ্গ রুধিবে কে। উদ্ধৃতি ,পাল্টা উদ্ধৃতি, পাহাড় প্রমাণ সংখ্যাতত্ত্ব, তথ্য ও বিপুল জ্ঞান ভান্ডার মাথায় নিয়ে “অপরের ম্লান মুখ দেখা ছাড়া প্রিয় সাধ” নেই আমাদের? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অতি বিখ্যাত লাইন “নাদের আলি, আমি আর কত বড়ো হবো “কাঁপা গলায় আবৃত্তি করে বেড়াবো ?
বড় বাঁধ, বড় বিপ্লব, বড় গাড়ি,সব সঅঅঅঅব আমাদের হতেই হবে? ছোটরা সবাই সচিন, সৌরভ, বাইচুং ভুটিয়া হয়ে উঠবে? এর পেছনে যে মুদ্রারাক্ষসের বিরাট ভূমিকা আছে, কে অস্বীকার করবে ? এই যে আমি লিখছি, আমিও কি এই বৃত্তের বাইরে? হয়তো কেন, নিশ্চয়ই নয়। তবু আজকে মনে হয় আমাদের জীবন থেকে চলে গিয়ে কি প্রকান্ড এক জ্বালামুখের দিকে চলেছি। সেই জ্বালামুখ কি শেষে আমাদেরকেই গিলে নেবে?

“কে আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে, হায় “। লিখলাম বটে ! সত্যিই কেউই বেদনা জাগাতে ভালোবাসে না । কোথায় কারা কিভাবে দিনাতিপাত করে, আমরা সাব-অলটার্ন আর মারজিনালিটি- র থিয়োরি গুলে খাওয়া লোকজন দুটোর আর তফাৎ করতে পারি না আজকাল । যেমন আমি চিন্তায় ‘এলিট ‘, বার্ডস আই ভিউ থেকে সংসার দেখা লোক, এদিকে টাকা পয়সার দিক, র্টের দিক থেকে মার্জিনাল। আমাদের অনেকেরই হয়তো বা সেই অবস্থা! শুধু Z!নতি পারো না। ভলতেয়ারের কাঁদিদ-এ শেষ লাইনটা ছিল অনেকটা এরকম ,আসল কথা হল নিজের জমি নিজে চাষ করা। ফয়েরবাখ-ও নাকি শেষ জীবনে গ্রামে গিয়ে নিজের জমি নিজে চাষ করতেন। আর শেষ কথাটা তো আমাদের গীতিকার কবি সাধক রামপ্রসাদ সেনই বলে গিয়েছিলেন, “এমন মানব জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা “। সোনা তারপর বাংলায় কিছু ফলেও ছিল। তা দিয়ে আমরা গয়না বানিয়ে ফেলেছি। সেই গয়নার ঝলকানিতেই আমাদের আপাতত চিৎকার, শীৎকার চেঁচামেচি ইত্যাদি প্রভৃতি। “তবু কোথাও মায়া রহিয়া গেল।”

(এই লেখাটি আমার আগের লেখাটার শেষাংশ। ভেবেছিলাম এইসব হাবিজাবি লেখা পোস্ট করবো না। কেউই পড়ে না, আমিও পড়িনা। তারপর মানুষজন বোকা নয়। সবাই সব কিছু জানে বোঝে । ফালতু তাঁদের সময় নষ্ট। কিন্তু, আমারও তো কিছু একটা করা চাই। এইসব হাবিজাবি পোস্ট করলাম সেই কারণেই। উপদেশ : কেউ এইসব লেখা পড়বেন না প্লীজ। জ্ঞান নেই আমার । অজ্ঞানতা আমার পুঁজি। জ্ঞানী মানুষজন ক্ষমা করবেন।)

 

Posted in আলোচনা, প্রবন্ধ, রাজনীতি, শিল্প, সংবাদ, সমাজ, সাহিত্য | Tagged , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , | মন্তব্য দিন | সম্পাদনা

Wednesday, June 8, 2016

বিষয়ঃ একটি বিজ্ঞপ্তি


প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

বাংলাব্লগের তরফে ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট তৈরীর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

ওয়েবটিম-২০১৩ এই কাজটি করে চলেছে


বিজ্ঞপ্তি   =======================================================================

বাংলাব্লগের তরফে ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট তৈরীর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়েবটিম-২০১৩ এই কাজটি করে চলেছে। যে সমস্ত পাঠক / ব্লগার-রা ঠিক অভ্যস্ত নন বা কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ব্যয়বহুল বাজেটের মুখে পড়ে বিভ্রান্ত বোধ করেন তাঁদের জন্য আমাদের এই ব্যবস্থাপনা। আমরা বাংলাব্লগের তরফে সার্ভে করে দেখেছি যে অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের নিজস্ব লেখাপত্র/ছবি/কার্টুন/ফটোগ্রাফি/গল্প/কবিতা/সংবাদ ইত্যাদি এমন কি অনেক সংস্থার (নাটক/গান/চলচিত্র/লিটল ম্যাগ ইত্যাদি) পরিচালকরা চান তাঁদের কন্টেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষি মানুষদের সামনে হাজির করতে। এছাড়াও বিভিন্ন পেশাগত কারণে অনেকে চান মূল কন্টেন্ট-এর ইংরাজী বা কোনও ভারতীয়/ ইউরোপীয় ভাষায় রূপান্তর আবিশ্ব নেটিজেনদের কাছে পৌঁছে দিতে। আজকের দিনে এটাই স্বাভাবিক! তাই আমরা এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাচ্ছি যে আপনারা ইচ্ছা করলে খুব কম খরচে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট / ব্লগসাইট প্রকাশ করতে পারেন। এ বিষয়ে বিশদে জানতে হলে নীচের ই-মেল লিঙ্কে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন। ধন্যবাদ!
 
বাংলাব্লগ@জিমেল.কম
baanglablog@gmail.com

--বাংলাব্লগ টিম
=======================================================================

Tuesday, June 7, 2016

বিষয় : চিত্রকলা

Posted (in WP) on

প্রিয় পাঠক/ব্লগার,

সমীর ভট্টাচার্যের ড্রয়িং


সমীর ভট্টাচার্য  জন্ম ১৯৫৭। ১৯৪৭-এর রাজনৈতিক ডামাডোলে পূর্ব বাংলা থেকে উৎখাত হয়ে আসা একটি পরিবারের মেজো সন্তান সমীরের ছেলেবেলা থেকে আজ পর্য়ন্ত দীর্ঘ যাপন উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে গঙ্গার ধারে জীবন যুদ্ধের খাপে খোপে গানে-গল্পে-উপন্যাস-ছবি-কবিতা-রাজনীতি-ছাত্র আন্দোলন-লিটিল ম্যাগ-হকারী-মকারী ও আরও অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা সমীরের তীব্র রসবোধ প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা বিচিত্র জীবনধারা জীবনবোধ তর্কযুদ্ধে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করার অসামান্য দক্ষতা বিশাল বন্ধু-বৃত্তে সাধারণ ও অসাধারণ গুণী মানুষদের কাছে আজও আকর্ষণীয় ও সমাদৃত। অতুলনীয় রবীন্দ্র বা জীবনানন্দ চর্চা সমীরকে তাড়িত করে কোনো এক মহতী জীবন ভাবনায়। প্রচলিত নিয়ম শৃঙ্খলা বাঁধাধরা ছকের বাইরে গিয়ে নিজের মতো করে বেঁচে থাকার তীব্র মদিরাময় আসক্তি স্ব-অধীনতা মনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা জননীর অনুপ্রেরণা তাঁকে প্রাণীত করে তাঁর নিজস্ব নির্মাণে – কবিতা ও ছবিতে। আমাদের বন্ধু সমীর ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে নিরলস শিল্প ও কাব্য চর্চায় মগ্ন । জললিপি নামে একটি কাব্যগ্রন্থ পুরস্কৃত ও প্রকাশিত হয়েছে এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়ে চলেছে। ছাত্রজীবনের গোড়া থেকেই শিল্পীদল এবং শিল্পপ্রদর্শনীর সঙ্গে জড়িত। তাঁর প্রচুর কাজ যেমন প্রদর্শীত হয়েছে তেমনই সংগৃহিত হয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। আমরা এখানে তারই একটি ড্রয়িং উপস্থিত করলাম।

সমীর ভট্টাচার্য  ড্রয়িং-১  কালি ও কলম   ২০০৯
সমীর ভট্টাচার্য   ড্রয়িং-১   কালি ও কলম   ২০০৯

Thursday, June 2, 2016

BanglaBlogaru: বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব

BanglaBlogaru: বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব: প্রিয় পাঠক/ব্লগার, বিষয় : শিণ্পী-ব্যক্তিত্ব Posted in WP বাংলাব্লগ on নভেম্বর 10, 2013 by নীলসীন neelseen   ...